লটারির জাল টিকিটের ব্যবসা, কোটিপতি জিয়া, তদন্তে পুলিশ

0
72
One India

লটারির জাল টিকিট বিক্রির ঘটনায় অধরা জিয়াউল ওরফে জিয়া খানের স্ত্রীকে লাইনে ‘ক্লোজ’ করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধলদিঘি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জিয়া।

তাঁর স্ত্রী জেসমিন বিবি গঙ্গারামপুর থানায় দীর্ঘদিন ধরে হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত। স্বামীর নাম লটারি কাণ্ডে জড়ানোর পরে তাঁকে লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। জিয়ার রাতারাতি বড়লোক হওয়ার পিছনে রয়েছে লটারির জাল টিকিটের ব্যবসা।

সেক্ষেত্রে জেসমিনের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখতে তাঁকেও জেরা করবে পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কী ভাবে অল্প সময়ে বিশাল সম্পত্তির মালিক হলেন জিয়া, সে ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।

গত ২৫ জুন গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেড় লক্ষ টাকার লটারির জাল টিকিট সমেত এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বড় চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। ব্যবসার মূলকেন্দ্র ধলদিঘির উত্তরপাড়ের জিয়ার বাড়ি।

পুলিশ তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে ৫টি কম্পিউটার সমেত ৪ অভিযুক্ত পুলক সরকার, সুমন বেসরা, মেহেদি হাসান ওরফে ইমন ও পার্থ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে মূল চক্রী হিসেবে জিয়ার নাম উঠে আসে। ২৭ জুন জ্যোতি বসু রোডে তাঁর শোরুমে তল্লাশি চালায় ডিইবি।

পুলিশি অভিযানের খবর আগে ভাগে পেয়ে এক সাগরেদকে নিয়ে গা-ঢাকা দেয় জিয়া। পুলিশ কাউকে ধরতে না-পারলেও জিয়ার ওই সাগরেদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। দ্রুত পালানোর সময়ে মোবাইলটি ফেলে গিয়েছে বলে অনুমান।

গঙ্গারামপুরের এক লটারি টিকিট বিক্রেতার বক্তব্য, ‘ভাগ্য বদলের আশায় সাধারণ মানুষ লটারির টিকিট কাটেন। সেই টিকিট নিয়ে প্রতারণার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন জিয়া। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হোক।’

প্রশ্ন উঠেছে, জিয়ার পিছনে কি রাজনৈতিক নেতাদের মদত ছিল? বাড়িতে জাল টিকিটের ব্যবসা করলেও তাঁর স্ত্রী, পুলিশকর্মী কিছুই জানতেন না? জিয়াকে ধরতে গত সাত দিনে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশের ডিইবি ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, ‘তদন্ত চলছে। জিয়া খানের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই তাঁকে গ্রেপ্তার করব।’

One India

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here