বহরমপুর: প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন, বিশেষ করে শাশুড়ি পরিচালনা করে বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হল। আর তারপরও দুধ দিয়ে স্নান করে বাড়িতে ঢুকলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানায়। ঘটনা জানাজানি হতে বিভিন্ন মহলে চর্চাও শুরু হয়েছে। শনিবার রাতে বাড়ির সামনেই ওই যুবক দুধ দিয়ে স্নান করেন।
হরিহরপাড়ার রুকুনপুর কাচারিপাড়া এলাকায় বাড়ি আরিফুল মণ্ডলের। এলাকারই এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁর। দুই পরিবারের মতে বছর তিনেক আগে দু’জনের চার হাত এক হয়েছিল। প্রথম দিকে সংসার বেশ ভালোই চলছিল বলে খবর। কিন্তু কিছু সময় যেতে না যেতেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় মনোমালিন্য। অভিযোগ, ভাত খাওয়া থেকে একের পর এক বিষয়ে দেখা যায় ঝগড়া-অশান্তি। যত দিন যেতে থাকে সেই অশান্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে বলেই অভিযোগ।
ওই যুবকের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সংসারে নাক গলাতে শুরু করেন। নিজের মেয়েকে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল পরামর্শ দিতেন মা, সেই অভিযোগও তিনি করেন। এক ছাদের তলায় একসঙ্গে আর থাকা যাচ্ছে না। এই কথা মনস্থ করেই বিবাদবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন দু’জনে। শেষপর্যন্ত ২১ জুন স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। আর তারপরেই রাতে ফিরে আরিফুল ঘোষণা করেন, তিনি মুক্ত। চমকের তখনও বাকি আছে। বালতি করে দুধ নিয়ে আসা হয়। বাড়ির সামনে বসেই বালতি বালতি দুধ দিয়ে স্নান করলেন ওই যুবক। সেই দৃশ্য দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়দের অনেকেই। জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে ২১ জুনই দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। স্নান সেরে বাড়ি ঢুকে আরিফুলের বক্তব্য, “ভালোবাসা ছিল, কিন্তু সংসার টিকল না। এবার নিজেকে শুদ্ধ করে নতুন জীবন শুরু করব।” তিনি আরও উপদেশ দেন, “প্রেম করে বিয়ে করার আগে পরিবারের পরিবেশটা একবার দেখে নিন।”